Tue, Mar 30, 2021 10:19 PM
আজিমউদ্দিন আহমেদ: গত কয়েকদিন নিউজ ফিডে হরতালে হেফাজতের তান্ডবের ছবিগুলো ভেসে আসছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম , পত্রপত্রিকায়, মিডিয়ায় লেখালেখি , ছবি চোখে পড়ছে কিন্তু তাও কেন জানি মনে হছে প্রচারটা খুব সুক্ষভাবে নিয়ন্ত্রিত নইলে আন্তর্জাতিক এবং দেশীয় মিডিয়ায় হৈ চৈ টা এতো কম কেন? ব্রাহ্মণ বাড়িয়ায় ও চট্টগ্রামে যেভাবে বঙ্গবন্ধুর মুরালসহ গাড়িতে আগুন দেয়া, বাড়ি- ভিবিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা করা ও আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটিয়েছে তাতে এবারই জনসম্মুখে এদের প্রকৃত স্বরূপ উন্মোচন করা যেত।
আমার একটা অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে চাই, আমাদের বাড়ির সীমানার ভিতরে আমার চাচা একটা কউমি মাদ্রাসা করার কাজ শুরু করে ইমানি জোস নিয়ে এগিয়ে চলেছেন- আনেক বুঝানোর চেষ্টা করেছি বাড়ির ভিতর মাদ্রাসা না করার জন্য তাতে বাড়ির পরিবেশ- প্রাইভেসি নষ্ট হবে, রাজনৈতিক সংঘাত- উগ্র জঙ্গি তৈরি হতে পারে- কে কার কথা শুনে? চেয়ারম্যান, উপজেলা চেয়ারম্যান, থানা- পুলিশ , ক্ষমতাসীন দলের নেতা সকলকে জানিয়েও কোন প্রতিকার হয়নি- কি একটা অদৃশ্য সমঝোতা লক্ষ্য করলাম। চেয়ারম্যানের জবাব গ্রামে ৫০০ মাদ্রাসা আছে আরেকটা কেন দরকার? উপজেলা চেয়ারম্যানের ্জবাব অনুমতি ছাড়া মাদ্রাসা কিভাবে করে? পুলিশের জবাব উনার নিজের জায়গায় করছে- সমস্যা কি?
কেউ দায়িত্ব নিয়ে এগিয়ে আসেনি - ভবিষ্যতে কি সমস্যা হতে পারে - এবারের ঘটনা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে । হয়তো একদিন এ মাদ্রাসা পুকুর বাড়ি সবই গ্রাস করবে- তাও খুশী খুশী শান্তনা বেহেস্তের দরজা দিয়ে মনজিলে মকসুদে পোঁছে যেতে পারবে আমাদের ১৪ জেনারেশন- এমনটাই আমার চাচা - অনেক আত্মীয়দের ধারনা। কিন্তু পরিবেশ ,প্রতিবেশী, সমাজ, রাষ্ট্র, প্রগতিশীলতা, আধুনিকতা, আগ্রগতির কি হবে?
আমাদেরকে যে তলোয়ারের যুগে ফিরিয়ে নিতে চায় তাও তো মানুষ দেখল এবারের তাণ্ডবে।
মজার ব্যাপার কি জানেন? মুরগির খামার করার জন্য ও নীতিমালা আছে যেখানে কিন্তু
মাদ্রাসা করার জন্য কোন নীতিমালা নেই - ইচ্ছেমত ঘরে- বাইরে যেখানে সেখানে করতে পারেবেন , এলাকার সুবিধাভোগী- টাউটদের- শুধু জামাকাপড়ের পকেটে কিছু দিলেই হবে। সরকার ও কিছু বলবে না ।
এবার আরেকটা বিষয় লক্ষ্য করুন করনাকালীন সময়ে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় সব বন্ধ কিন্তু মাদ্রাসা খোলা?
কিন্তু কেন? কেন? কেন? কে জবাব দিবে ? যুক্তি কি? তার ও কোন জবাব পাওয়া যাবে না ।
কিসের আশায় আমরা ওদের বাড়তে দিচ্ছি, দুধ কলা দিয়ে পুষছি -
এ বোধ নিয়ে সরকার ও প্রতিটা নাগরিক নিজেকে কি প্রশ্ন করেছে কখনো?
এবার আমার একটা বোধের কথা বলি "সময়ের" মুক্তিযোদ্ধা অনেক আছে এখন যদি দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু হয় তাহলে দেশের বিরুদ্ধেই অস্ত্র ধরবে। সেজন্য সরকারের উচিৎ যারা মুক্তিযোদ্ধা তালিকা থেকে নাম প্রত্যাহার করতে চায় তাদেরকে সে সুযোগ দেয়া , তাহলে অন্তত মুক্তিযোদ্ধার নাম ব্যাবহার করে এসব করতে পারবে না। আসলে এরা ভিতরে ভিতরে তালেবান উপরে উপরে মুক্তিযোদ্ধা !!!
লেখক: আজিমউদ্দিন আহমে, চাকসুর সাবেক জিএস।